বাংলাদেশ বলেছে, সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার জন্য ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রীপর্যায়ের কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে এই আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটতে ৪৯তম ওআইসি ফরেন কাউন্সিলের মন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহিতা করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার অবস্থার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অবদানের অবস্থা এবং মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিলের প্রয়োজনীয়তার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোমেন আন্তঃদেশীয় আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়, বিশেষ করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতসহ হাজার হাজার কিশোর ও যুবকদের ধ্বংস হওয়া এড়াতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
গাম্বিয়া ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে এবং আইনি পদক্ষেপে সদয় সমর্থনের জন্য রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে মামলার গতি নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
তিনি মামলার আইনি খরচে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে ভার ভাগাভাগি করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব, তুর্কি, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, মিশর, পাকিস্তান ও গাম্বিয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরুন ও মৌরিতানিয়ার প্রতিপক্ষের সাথেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
উভয় দেশ বাংলাদেশের দ্রুত ও ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং আশা প্রকাশ করে যে কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্য, শিক্ষা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগ ঘটবে।
মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিবের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
মোমেন ১৬-১৭ মার্চ মৌরিতানিয়ার নোয়াকচটতে অনুষ্ঠিত ৪৯তম ওআইসি কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম)-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
সূত্র : ইউএনবি