হঠাৎ করেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে কপালে ভাঁজ পড়েছে স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষের।করোনার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্য। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
এ অবস্থায় আসছে রমজান উপলক্ষে নতুন করে বেড়েছে আলু, ছোলা, খেজুর, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন মসলার দাম, যা স্বল্প আয়ের মানুষদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা। অনেক সীমিত আয়ের মানুষই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন। দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছু করার নেই তাদের।
এদিকে রোজার মাসে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তেল, চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন মোতালেব । তিনি বলেন, “আমাদের মতো মানুষের যে কী নিদারুণ কষ্ট কেউ বোঝে না। বেতন তো আর বছর বছর বাড়ে না। এমন জীবন সত্যি দুঃসহ। “তাই টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য নিতে দাঁড়িয়ে আছি যদি কিছুটা খরচ সাশ্রয় করা যায়। যতো বড় লাইন, মনে হয় না আজ পাব।
কেবল মোতালেব নন, অনেক সীমিত আয়ের মানুষই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন। দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছু করার নেই তাদের। দফায় দফায় চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ভিড় সামাল দিতে তাই হিমশিম খাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পরিচালিত ট্রাক সেল কার্যক্রমও।
বিক্রেতারা জানান, আগে ট্রাক সেলে কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক, গাড়িচালক কিংবা গৃহকর্মীরা বেশি আসত। তবে এখন সেই লাইনে পণ্য কিনতে মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন যা তাদের জন্য বাড়তি চাপও বটে।