আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা রাজনীতি করি, আমাদের দল আছে। আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় একটা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করি।
রোববার (৩ জুলাই) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা একেবারে তৃণমূল থেকে। আমরা এভাবে ভাবিনি যে, ধনীরা আরও ধনী হোক। আমি নিজে যাদের দেখেছি গায়ে কাপড় নেই, মনে হয় যেন একেকটা কঙ্কাল হাঁটছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করাটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছেন বলেই আমরা কাজটা করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো দেয়নি, আমরা বিনাপয়সায় সবাইকে করোনা টেস্ট করিয়েছি এবং ভ্যাকসিন দিয়েছি। বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। আমি আশা করি সবাই এ ভ্যাকসিন নেবেন।
এ সময় মুজিব বর্ষের গৃহনির্মাণ কর্মসূচির বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি যেতে না যেতেই এখন আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যেটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করেছে। আর আমাদের মতো দেশে আরও বেশি এটার প্রভাব পড়েছে।
‘এক্ষেত্রে আমি আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাব। কারণ, করোনা ও যুদ্ধের মধ্যেও তাদের আন্তরিকতার কারণে দেশ এগিয়ে চলছে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।