উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সতর্ক করে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষে তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির ৬৯তম বার্ষিকীতে বুধবার এক বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা এই হুঁশিয়ারি দেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো সঙ্কটে সাড়া দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। পাশাপাশি দেশের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধও তার মিশন অনুযায়ী সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে তার পূর্ণশক্তি একত্রিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি উত্তর কোরিয়াকে তার শত্রুতামূলক নীতির ন্যায্যতা দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পৈশাচিক’ করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বৈত আইন’ যা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত রুটিন অ্যাকশনকে ‘উস্কানি’ এবং ‘হুমকি’ হিসেবে উপস্থাপন করে।
কিম দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ‘একজন যুদ্ধ পাগল’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ইউন সুক ইওলে অতীতের দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের চেয়ে আরো এগিয়ে গেছেন।
মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইউন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিউলের সামরিক জোটকে শক্তিশালী করতে এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে নিরপেক্ষ করার জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত স্ট্রাইক সক্ষমতা সহ তার ক্ষমতাকে আরো জোরদার করতে চেষ্টা চালিয়ে নিচ্ছেন।
কিম বলেন, ‘আমাদের জাতির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা বলা, যাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে যেগুলো তারা সবচেয়ে বেশি ভয় পায়, এটি অযৌক্তিক এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। এই ধরনের বিপজ্জনক প্রচেষ্টা অবিলম্বে আমাদের শক্তিশালী বাহিনীর দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে এবং ইউন সুক ইওল সরকার এবং তার সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করা হবে।’
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডকে দ্বৈত মানের এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ‘শত্রু নীতি’ বলে অভিযুক্ত করছে।