পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সোমবার যুক্তরাজ্য থেকে নতুন ও বাড়তি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে দূষণমুক্ত জ্বালানি, আইসিটি ও কৃষিখাত অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি সোমবার এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিটেনের ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটি কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের ক্রসবেঞ্চ সদস্য সফররত লর্ডস কারান বিলিমোরিয়ার সাথে বৈঠকে এ আবেদন জানান।
সফরকালে লর্ডস বিলিমোরিয়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ী কমিউনিসিটর সাথে ব্যাপক পরিসরে কাজ করার প্রস্তাব দেন।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ-বাংলাদেশ অভিবাসী প্রাধান্য বিশিষ্ট ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রি উন্নত করার জন্য লর্ডস বিলিমোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি দক্ষ বা আধা-দক্ষ কর্মীদের অনুকূলে ভিসাসহ এ শিল্পের মোকাবেলা করা কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জ সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে তার বিভিন্ন দফতর ব্যবহার করতে লর্ডসকে অনুরোধ জানান।
লর্ডস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতার জন্য তার প্রস্তাবের ব্যাপারে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
মোমেন বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্সেলর হিসেবে লর্ডসের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তিনি সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ব্যাপক সহযোগিতার ব্যাপারে তাকে অনুরোধ জানান।
তারা উদ্বেগজনক ইউক্রেন যুদ্ধ ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো বিভিন্ন অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলায় হস্তক্ষেপে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
মোমেন সফররত লর্ডসের বাবা লে. জেনারেল ফরিডন বিলিমোরিয়ার মূল্যবান অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করেন। তিনি একজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি রংপুর অঞ্চলে ২/৫ গোর্খা রাইফেলস’র (ফ্রন্টিয়ার ফোর্স) কমান্ডার ছিলেন এবং সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেন।
সূত্র : বাসস