বুধবার, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
এবারে আমাদের লক্ষ‍্য সংসদ ভবন-বরিশালে এনসিপির পদসভায় নাহিদ গৌরনদীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ পন্ড বনানীতে পথশিশুকে ধর্ষণ নিবন্ধন চেয়ে আবেদন : ১৪৪ দলের কোনোটিই উত্তীর্ণ হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু এনবিআরের আন্দোলনের জেরে আরও ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত গ্রেনেড হামলা মামলা : তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার কমিশনের ব্যর্থতার দায় সবাইকে নিতে হবে: আলী রীয়াজ অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি শরীরে কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে

যমুনা থেকে ‘মিলেমিশে’ বালু তুলছেন আ. লীগ-বিএনপি নেতারা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ২৪৬ বার পঠিত

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদী থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা মিলেমিশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, জনবসতিসহ আবাদি জমি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্তরা।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বপাশ দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর বুকে জেগে উঠেছে বৈশাখী ও রাধানগর চর। সেখানে আবাদি জমিসহ গড়ে উঠেছে জনবসতি। এই দুটি চর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এই বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ২০ নেতা একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক শাহ।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, কমিটির নেতৃত্বে থাকা বেলাল হোসেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করে থাকেন। আর রফিক শাহ বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করেন। কমিটির প্রভাবশালী আরও দুই নেতা হলেন- ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, যমুনা নদীর দুই চর থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০টি খননযন্ত্র দিয়ে লাখ টাকার বালু উত্তোলন করা হয়। যা মজুদ করা হয় পাশের সারিয়াকান্দি ও কাজিপুর এলাকায়। সেখান থেকে প্রতি ট্রাক বালু দুই থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রফিক শাহ বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে আপাতত বালু তোলা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরা বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’

উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, ‘বালু তোলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’

যুবলীগ নেতা আব্দুর রশিদ ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগে বালু তোলার প্রতিবাদ করে কোনো প্রতিকার পাইনি। তারা আমাদের জমি থেকে বালু তুলে নিয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন কিছু টাকা নেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘থানা পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। উপজেলা প্রশাসন চাইলে বালু উত্তোলন বন্ধে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ’

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই। এর আগে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এখন আবারও বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com