বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ভরে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মিছিল আর স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারদিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট দিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করছেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে সম্মেলনস্থলে।
দীর্ঘ চার বছর পর এ সম্মেলন হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। এরই মধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।’
সম্মেলনে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে সম্মেলনস্থলে।
এতে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাত্র সংগঠনের এবারের নতুন নেতৃত্বের দিকে বিশেষ নজর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের। সংশ্লিষ্টরা জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংগঠনের শীর্ষ দুই পদে নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রার্থী রয়েছেন তিন শতাধিক।
এদিকে বরাবরই দেখা গেছে, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচন করা হয়। এবারের সম্মেলনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ ছাত্রনেতাদের।
সুনির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়, মেধা, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতাই মুখ্য বিষয় হবে বলে জানান নীতি নির্ধারক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।