শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা মাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি ভাষাকেও ভালোবাসতে হবে। বাংলা ভালোভাবে শিখতে ও ব্যবহার করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন অলিম্পিয়াড ২০২২ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ভাষার বিকৃতি যেন আমরা না করি। আর অন্তত আরেকটি ভাষা শিখি। ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বে চলে, সেই ভাষা অন্তত শিখব। আর কেউ যদি তৃতীয় ও চতুর্থ ভাষা শিখতে চায় তাহলে সেটা আরও ভালো।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘ভাষার পাশাপাশি তোমাদের আইসিটিও শিখতে হবে। আইসিটি কিন্তু এখন স্বাক্ষরতার অংশ। এক সময় আমরা শিখতাম ক, খ, এ, বি, সি এবং এক দুই তিন। কিন্তু এখন আইসিটির বর্ণমালা শিখতে হচ্ছে। পাশাপাশি তোমাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও সুক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আর আজকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বল্পন্নোয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। তার জন্য স্মার্ট নাগরিক লাগবে। আর সেই স্মার্ট নাগরিক হবে তোমরা। তার জন্য তোমাদের সে গুনাবলী অর্জন করতে হবে।’
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ।
বিশিষ্ট ছড়াকার ও চিকিৎসক পীযুষ কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক অলিম্পিয়াডের সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আল-আমিন ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি’র ছাত্রী রওজাতুল রোম্মান।
স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৩০ হাজার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ চাঁদপুরের ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের জেলা পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগিদের হাতে সনদপত্র, সম্মাননা স্মারক, উপহার ও এককালীন বৃত্তির নগদ অর্থ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরা। সবশেষে জেলার বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন হয়।