কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয় ভোট গ্রহন। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে এ ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে।
পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।সারাদেশের দৃষ্টি এখন কুসিক নির্বাচনের দিকে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখতে চাচ্ছে না কমিশন। যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক (রিফাত)। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন টেবিলঘড়ি নিয়ে।
এ ছাড়া মেয়র পদে লড়াইয়ে আছেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার। তার প্রতীক ঘোড়া। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম হাতপাখা ও কামরুল আহসান বাবুল হরিণ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
এ নির্বাচনে টেবিলঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক এর আগে দুই দফায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। তার আগে ছিলেন কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান। ২০০৫ সালের পর কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি তিনি। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনও প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন।