রবিবার, ০২:৪১ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

তিন বিষয়ে সরকারের নজর

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
  • ৯৯ বার পঠিত

দীর্ঘদিন ধরেই ধীরগতিতে এগোচ্ছে দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ। তবে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দেশে উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রেখেছিল। বৈশ্বিক মহামারী করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেই প্রবৃদ্ধির ধারায় বাদ সেধেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী অর্থবছরের বাজেটে তিনটি বিষয়ে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়েছেন। এর মধ্যে অতিমারীর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বৈশ্বিক নেতিবাচক প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে সুরক্ষা এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনের ধারা অব্যাহত রাখা। সরকার তিন বিষয়কে সামনে রেখে মধ্যমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি কৌশল ঠিক করেছে।

জানা গেছে, দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বেশ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলে। অর্থনৈতিক কর্মকা- স্থবির হওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। কোভিডের প্রভাবে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যের মূল্যের অস্থিরতা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তিনটি প্রাধিকার ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তবে অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উচ্চপ্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিবৃতিতে তিনি ভারসাম্যপূর্ণ আর্থিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সম্প্রসারণশীল আর্থিক কৌশল প্রণয়ন করেছেন।

জানা গেছে, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে জোরদার এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিশাল করছাড়, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি করা, কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং আর্থিক খাত (ব্যাংকিং খাত ও শেয়ারবাজার), কর খাত ও বাণিজ্যনীতির সংস্কারের প্রতি জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এই সংস্কারগুলোর বিষয়ে বাজেটে দিশা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় বিশেষ নজর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের কপাল খুলেছে। বাজেটে দুই হাত ভরে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন তারা। যদিও সুবিধাভোগীদের তালিকায় বৃহৎ শিল্পকারখানাগুলোর জয়জয়কার।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এ অর্থবছরে লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির ২ দশমিক ৫ শতাশ করপোরেট করহার হ্রাস করা হয়েছে। বিদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাজেটে করপোরেট ট্যাক্সের হার কমানো হয়েছে। এতে ব্যবসার খরচ কমবে। ব্যবসায়ীরা পুনরায় মুনাফার একটি অংশ বিনিয়োগ করতে পারবে। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। ‘আমি মনে করি, ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়া উচিত। কারণ, তখন লাভের একটি অংশ তারা পুনরায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন। যত বিনিয়োগ করা যাবে তত বেশি কর্মসংস্থান হবে। এই নিয়ম মেনেই এবারের বাজেটটি তৈরি করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের ভেতরে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোই দেশের মানুষ ব্যবহার করুক। মূল লক্ষ্য ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com