যত্রতত্র উন্নয়নকাজের জন্য রাস্তা সংকুচিত আর ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে পানি জমে যাওয়ায় ঢাকা-টঙ্গী-ময়মনসিংহ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বুধবার ভোর থেকে যানজটের শুরু হয়। অফিসের সময় বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে এ যানজট। যা বনানী অতিক্রম করেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে আটকা যাত্রীরা।
সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সোমবার থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি ছিল। কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানবাহন চলছিল। বৃষ্টিতে মহাসড়কে নতুন করে খানাখন্দ তৈরি হওয়া ও পুরোনো খানাখন্দগুলো বড় আকার ধারণ করায় অনেক জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে।
পুলিশ ও বিআরটি প্রকল্পের কর্মকর্তারা ইট, বালুসহ নানা উপকরণ দিয়ে সেই খানাখন্দ মেরামত করলেও ভারী যানবাহন চলাচল করায় তা উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ ও গর্তের কারণেই যানজট তৈরি হয়েছে। অপরদিকে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় লেনে গাড়ি চলত, সেখানে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলায় লেন সংকুচিত হয়ে পড়ে ঢাকায় প্রবেশে ও ঢাকা থেকে বের হতে এক লেনে চলাচল করছে গাড়িগুলো।
সড়কের পরিস্থিতি তুলে ধরে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকার পরিদর্শক শেখ শাহাদাত আলী বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা বেশ বাজে। প্রকল্পের কোনো লোক আমাদের কথা শোনেনি। তারা মিলগেটের অল্প একটু রাস্তা, সেটাও ঠিক করে দেয়নি। যানজট চলে গেছে বোর্ডবাজার পর্যন্ত।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) অশোক কুমার পাল বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সড়কে গর্ত করে উড়াল সেতুর পিলার তোলা হয়েছে। বৃষ্টিতে সেই গর্তের পাড়ের মাটি ভেঙে পড়ায় মহাসড়কের ওই অংশে ঢাকামুখী এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। এখানেই মূলত যানজট হচ্ছে।
ভোগান্তির বিষয়ে জানতে গতকাল মঙ্গলবার প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের স্থায়ী নির্মাণকাজ চলছে। নভেম্বরের দিকে কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।