প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুটি দিকই তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব নেতিবাচক বিষয় তুলে আনা হয়েছে, সেখানে অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বুধবার (৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
টাইম ম্যাগাজিনে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ বা আপত্তি জানাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর যে গুরুত্ব বা শেখ হাসিনার স্টেটমেন্টশিপ সেখানে এত ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা। সেগুলো পার হয়ে তিনি বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়েছেন সেটা কিন্তু টাইম ম্যাগাজিনে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে তো শুধু তারা ভালো কথা বলবে না। তারা যেসব ক্রিটিসিজম এনেছেন এর মধ্যে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সামনের দিনে যোগাযোগ করতে পারি। কিন্তু এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত কিন্তু হয়নি। তবে কাভার স্টোরি করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে। আমি মনে করি এখানে অনেক টেইকওয়ে আছে। আমরা ইতিবাচক দিকটাই দেখব।
নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ ইস্যুতে বিভিন্ন দেশে যেসব মিথ্যা বা অপপ্রচার হয়েছে তার উদাহরণ টেনে বলেন, নেতিবাচক যা হচ্ছে, আমরা তার প্রমাণও দিয়েছি। আজকাল পৃথিবীতে অর্থের বিনিময়ে অনেক কিছু করা যায়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তি পদ হারিয়েছেন। কারণ অন্য দেশের কিছু রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি পয়সার বিনিময়ে সমর্থন করতে গিয়ে। তার মানে এ কাজগুলো অব্যাহতভাবে চলছে বলে এ ঘটনাগুলো চলছে। এখানে এ প্রভাবটা অনেকখানি আছে।
গুঞ্জন আছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে অভিযোগ করেছে ঢাকা। বিষয়টি সত্য কিনা-জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, না, এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।