রাজবাড়ীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে টনসিল অপারেশনের সময় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের সময় ফিরোজ কাজী নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে তাকে অপারেশন
থিয়েটারে রেখেই চিকিৎসক ও নার্সরা পালিয়ে যায়।
এ সময় মৃতের স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালটি ঘিরে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি শাহাদত বলেন, ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক হাসান আলী পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির পরিবার মামলা করেছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪৫ বছর বয়সী ফিরোজ সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
তার মা হাজেরা বেগম জানান, ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে টনসিলে ভুগছিল। শুক্রবার বিকালে সে শহরের বড়পুল এলাকায় ডা. রতন নামের একটি ক্লিনিকে গিয়ে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ মো. হাসান আলীকে দেখায়। এ সময় ওই চিকিৎসক ফিরোজকে জানান যে তার টনসিলে ইনফেকশন হয়েছে এবং তা দ্রুত অপারেশন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফিরোজের অপারেশন শুরু হয়। কিন্তু রাত ১১টা বেজে গেলেও ফিরোজকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ফিরোজের ব্যাপারে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা আমাদের বার বার অপেক্ষা করতে বলেন। তখন আমাদের সন্দেহ হলে জোর করে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখি ফিরোজ মারা গেছে। এ সময় আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।’
মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. টুকুমিজি বলেন, ‘ডা. রতন ক্লিনিকে টনসিল অপারেশনের সময় ফিরোজ কাজীর মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। রাতে ওই রোগীর স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ লোকজন ক্লিনিক ঘিরে রাখে।’
এ বিষয়ে জানতে ডা. রতন ক্লিনিকের ম্যানেজার আফজাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে ফিরোজ কাজী নামে এক রোগী ভর্তি হয়। নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. হাসান আলী গলার থাইরয়েড অপারেশনের জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওটিতে ঢোকেন। এরপর জানতে পারি যে ওই রোগী মারা গেছেন।’