গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন। দুদকের শুনানি শেষে আগামী ২৪ জুলাই আসামি পক্ষের শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন ঢাকা-৩ বিশেষ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ২ নম্বর ভবনের স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এদিন এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলাটিতে বেগম জিয়ার আইনজীবীদের মাধ্যমে হাজিরা মঞ্জুর করা আছে। সে অনুযায়ী আমি তার পক্ষে হাজিরা দিয়েছি।
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল সব আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জগঠনের প্রস্তাব করেছিলেন।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। বর্তমানে আসামি ১৭ জন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্যাটকোর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এরপর মামলার দুই আসামি গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে। এরপর থেকে ১০ বছর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সর্বশেষ গত বছর ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই দুই আসামির আবেদন খারিজ করে দেয় এবং ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।