খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া মহত্বের পরিচয় বহন করে না।
বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার হটানো, বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন, নারী শিক্ষার প্রসার, চাকরিতে নারীর অগ্রাধিকার, অবৈতনিক নারী শিক্ষা, শিক্ষা উপবৃত্তি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি, মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সমস্যা নিরসনে হল সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্তিশালী করণ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, যমুনা সেতু ও ২য় মেঘনা সেতু তৈরি সহ শিক্ষা, চিকিৎসা, অবকাঠামো ইত্যাদি বহু খাতে খালেদা জিয়ার বেশ অবদান আছে।
উনার অনেক ব্যর্থতাও আছে। উনার রাজনীতির, উনার সাফল্য-ব্যর্থতার উপর হালকা মাঝারি ও তীক্ষ্ণ সমালোচনা থাকবে। কিন্তু নিজের সব মামলা প্রত্যাহার করে, খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকার রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে শাস্তি দেয়া মহত্বের বিষয় না। রাজনৈতিক ভাবে নির্ধারিত শাস্তির অযুহাতে উনার সুচিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার হরণ করা প্রশংসার বিষয় নয়।
যে দেশে লক্ষ কোটি টাকা লুট ও পাচারের খবর নিত্যদিনের, বেগম পাড়ার সংবাদ প্রতিদিনের আলোচিত বিষয় সেদেশে দুই কোটি টাকার একটা মমলায় বৈধ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাকে চিকিৎসার মত মৌলিক সুবিধা না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনি দায়ী থাকবেন প্রাইম মিনিস্টার। বৈধ রাজনীতিকে বন্ধ করে আপনি অবৈধ রাজনীতির পেন্ডোরার বক্স হাতে নিয়েছেন। আপনার জীবনের অর্জন গুলো এভাবে নষ্ট করবেন না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর এটা ঘৃণ্য জিঘাংসা মাত্র
সরকার ওবায়দুল কাদেরের জন্য বিদেশ থেকে সেরা ডাক্তার এনে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে পাঠালো।মিডিয়ার সামনে প্রতিদিন বকাওয়াজ আর ভাঁড়ামি করা ছাড়া দেশের জন্য তার কি অবদান আছে? রাষ্ট্রপতি কথায় কথায় বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান। রাষ্ট্রপতির চিকিৎসা খরচের হিসাব তুললে বিস্তর আলাপ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও বাইরে চিকিৎসা করান। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সব বাঁধা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশের সেরা চিকিৎসাটাও খালেদা জিয়া পাচ্ছেন না। এরকম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অর্থ কি?
অন্যসব যুক্তি বাদ! শুধুমাত্র দেশের একজন প্রবীন নাগরিক বা সিনিয়র সিটিজেন হিসেবেই পরিবারের পছন্দসই স্থানে খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা পাবার পূর্ণ অধিকার রাখেন।
“নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘন কারীদের পছন্দ করেন না”।
-ফাইজ তাইয়েব আহমেদ