দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। রোববার রাত ৮টা ১০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির নেতারা খালেদা জিয়ার বাসা ফিরোজায় যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা অতিবাহিত করেন তারা।
সাক্ষাত শেষে বের হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনায় যেখানে বন্যায় মানুষ প্লাবিত হয়েছে, এই দুর্গত মানুষের খবর আমাদের কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা যেভাবে দূর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছো ঠিক সেভাবেই তোমরা বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত। তিনি মনে করেন, বন্যার্তদের সেবা করা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করা এবং এটাই রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি এখন যে অসুস্থতায় আছেন সেই অবস্থা তার ইমিডিয়েন্ট কোনো বিপদ না থাকলেও তিনি কিন্তু এখনো অসুস্থ আছেন। আমরা যেকথা বার বার বলে আসছি যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাইরে চিকিৎসা এজন্য না যে, তিনি বাইরে যাবেন সেই জন্যে। এখনকার ডাক্তাররা যারা তার চিকিৎসা করছে তারা সবাই বার বার করে বলেছেন যে, উন্নত চিকিৎসা তার (খালেদা জিয়া) দরকার সেই চিকিৎসা উন্নত কেন্দ্র সেই কেন্দ্র এখানে নেই। যে কারণে তারা (চিকিৎসকরা) মনে করেন যে, ম্যাডামের যদি সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করার জন্য চিকিৎসা করা দরকার তাহলে সেটা অবশ্যই দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া প্রয়োজন। আমরা সেই কথা আবারো আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
সাক্ষাতে দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আমাদের দলের প্রধান, দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিনি তিন বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আরও যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
এর আগে এদিন সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মহাসিচব বলেন, দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পেছনে সরকারের কুইক রেন্টালই দায়ী। ইনডেমনিটি দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।