ছোটবেলায় পড়েছি পৃথিবী ডিমের আকৃতি তাই এই ডিমের আকৃতি বিশাল গোলাকার পৃথিবীতে তিন ভাগের দুইভাগ জল, আর একভাগ স্থল, তাতে নানা জাতের প্রাণী বসবাস করছে, আর আমরা হলাম সকল প্রাণীকুলের শ্রেষ্ট জীব।
আমাদের জীবন যৌবন মেধা আছে আমরা সে মেধা দিয়ে সভ্যতার আলোকে ডিমের আকার পৃথিবীর সকল নিয়ন্ত্রন নিয়েছি। মানব কল্যাণে মেধা দ্বারা পৃথিবী ছেড়ে আকাশ থেকে মহা আকাশে গবেষণা সমুদ্রের তলদেশে আরেক জগৎকেও আমাদের নিয়ন্ত্রনের সীমারেখায় রেখেছি। তার পরেও যেন আমাদের চাহিদার শেষ নেই। সভ্যতার ক্রমবিকাশে এখন অসভ্যতায় জরজরিত পৃথিবী। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই, পারা মহল্লায় লড়াই, নেতায় নেতায় রাজনৈতিক লড়াই, দেশে দেশের মানচিত্র নিয়ে লড়াই, আর এ লড়াই এখন গোটা বিশ্বকে আতংকে রেখেছে।
বড় বড় দেশগুলো ছোট দেশগুলোর প্রতি নিয়ন্ত্রন নেয়া এ যেন দীর্ঘ্যদিনের অভ্যাসে পরিনত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ভৌগলিক দিক থেকে এক বিশাল ইউনিয়ন যার সীমানা অনেক বড় কিন্তু তার সীমানা আরো চাই সে নীতিতেই আজ ইউক্রেনের সাথে তার দখলদারিত্ব আগ্রাসনি রনাংগন। আমরা যদি সারা পৃথিবীর দিকে তাকাই তা হলে প্রত্যেক দেশের সরকার রনকৌশলে মারণাস্ত্র তৈরীর প্রতিযোগিতায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে কিন্তু কেন? টাকা কার? আর এ অস্র কোথায় ব্যাবহার হবে? এ সব প্রশ্নের কাছে মানবতা আর মানবসভ্যতা থুবরে পরেছে।
আমরা পৃথিবীতে ক্ষনস্থায়ি এ কথার সত্যতার নিরিখে যে যতটুকুতে আছি সেই সীমারেখার মধ্যে মানবতা আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করে নিরস্রিকরনের মধ্য দিয়ে নুতন পৃথিবি গড়ার অংগিকার করতে পারিনা? আমরা কেন যুদ্ধে জরিয়ে নিজেদের জন্য নিজেরাই ঝুকি বয়ে আনি।
সম্প্রতি ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে পৃথিবীকে এক ঝুকিপুর্ন সীমারেখায় নিয়ে গেছে যা একেবারে পাগলামি এ পাগল থামাবার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখনি দরকার না হলে সামনে এক অন্ধ পৃথিবী দেখতে হবে সকলের। ইউক্রেন সাজানো গোছানো একটা দেশ ছিল এখন তা মৃত্যু পুরীতে পরিনত যা দেখলে যে কেহর হৃদয়ে রক্তক্ষরন হবে।
সাধারন জনগনের ঘাম ঝরানো টাকা কৌশলে রাষ্ট্র পরিচালকেরা নিয়ে গোলাবারুদ তৈরী করল আর সেই গোলাবারুদ জনগনের তৈরী স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়ে যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাড়ালো তা সুধরাতে আবার যুগের পর যুগ পার করতে হবে।
দিনে দিনে আক্রমনের ধরন পাল্টানো আর রাজনৈতিক বক্তব্য, পৃথিবীর সকল মহলের আলোচনা বিশ্লেষণ শুনলে সহজেই উপলব্দি করা সম্ভব যে আমাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর রুপরেখা এক আতঙ্কময়।
দিনে দিনে যেভাবে ঘনীভূত হয়ে উঠছে পৃথিবীর রুপরেখা তাতে যদি হারিয়ে যাই তা হলে সকলে সকলকে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু যাদের সর্বোচ্চ উচ্চস্থানে বসিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ত্ব বসিয়েছিলাম কিন্তু তারা যা রেখে গেল তার বিনিময় আকাশের কাছে বিচার রেখে দিলাম!!
কলাম লেখকঃ
মিজানুর রহমান মুন্সী
পর্যবেক্ষক
ইতালি ।