আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? দুই জনই সাজাপ্রাপ্ত। এদের সঙ্গে ডান-বাম অতিবাম এসে যুক্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি।
শনিবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ভোটে পেছনে ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র করে ভোটে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমরা এগিয়েছি। পারসেন্টেজ বেশি ছিল। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তাদের (বিরোধীদের) কুকর্ম মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী করছি। তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছি। গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হচ্ছে। মানুষ গ্রামের বাড়ে গিয়ে ঈদ করেছে। উৎসব করেছে। এতে গ্রামে অর্থ সরবরাহ বাড়ে। বিশ্বে অনেক দেশে এটা কমে গেছে।
তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক সবাই মানুষ হত্যা করেছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এদের সময় ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে, পাকিস্তানি স্টাইলে মিলিটারি ডিক্টেটরশিপ চালু করেছিল। পরাধীনদের অনুসরণ করব না। নিজস্বভাবে দেশের উন্নয়ন করব, মাথা উঁচু করে চলব।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে ধন্যবাদ, বার বার ভোট দিয়েছে। টানা তিন বার ক্ষমতায় রেখেছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। অনেকে অতি জ্ঞানী হলেও তারা কম বোঝে। তাকিয়ে থাকে কখন তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে। বসে থাকে কখন সিগনাল আসবে। বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে। বিদেশ থেকে যেন ক্ষমতায় বসাবে। এখনকার বাংলাদেশ সেটা নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে প্রায় ৩৩ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দিয়েছি। জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার দেব। বাকি থাকবে ৪৫ হাজার, তাও দিয়ে দিলে দেশে ভূমিহীন কেউ থাকবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।