বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একসাথে যায় না। এখন সেই আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষ্যে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত হোসেন বিপ্লবের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, কৃষক দলের শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, কৃষক দলের কাদের সিদ্দিকী, ইয়ুথ ফোরামের আজিজুল হাই সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আমির হোসেন বাদশাসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে গিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে তারা তো ফ্যাসিস্ট। আজকে ফ্যাসিবাদ আবার দেখছি। যেমনটি ছিলো ১৯৭৫ সালে। তবে এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। ইতালির ফ্যাসিজম ও জার্মানির নাৎসিবাদের আরেক রূপ বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশাল বা ফ্যাসিবাদ। তারা ১৪ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা মানুষের ভোট ডাকাতি করে রাতের আধাঁরে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নাকি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বরং চীনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পদ্মা সেতু করা হয়েছে। যার ঋণের বোঝা আমাদের সবাইকে শোধ করতে হবে।
রিজভী বলেন,‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে আশংকা করেছেন তা কেনো? সবই তো আপনার নিয়ন্ত্রণে। আপনার এতো বাহিনী, এতো গোয়েন্দা সংস্থা তাহলে তারা কী করে? এটাকেই বলে যে ঠাকুর ঘরে কে রে? আপনার হাতে সবকিছু আর আপনিই দুর্ঘটনার আশংকা করছেন। আপনার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তো বিএনপির মৃত নেতার নামেও মিথ্যা মামলা দেয়। কিন্তু আমাদের আশংকা হয় যে আপনার লোকেরা কী এমন অঘটন ঘটিয়ে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে।