করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আইসিইউতে রয়েছেন বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী।
মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রয়েছেন লতা। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে লতা মঙ্গেশকর আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন বলেই দাবি পরিবারের। বয়সের কারণে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সেবার ভাইরাল চেস্ট ইনফেকশনের কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল তাঁর। বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় করোনাকালে বেশ সাবধানতা বজায় রেখেই চলেছিলেন এই কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে রেহাই পেলেন না বর্ষীয়ান এই সংগীতশিল্পী। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর পরিবারেরই কোনো সদস্য বা পরিচারিকার থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন তিনি।
কিংবদন্তী গায়িকার পরিবারের তরফে বলা হয়েছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে। তবে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যাতে রক্ষা করা হয়, সেই অনুরোধও রেখেছেন লতার পরিবার।
ভারতীয় সংগীতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি৯৩ বছর বয়স হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের। দাদাসাহেব ফালকে-সহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। একটা সময় ভারতে গানের দুনিয়াকে একাই শাসন করেছেন লতা। তার কোকিলকণ্ঠে আজও মুগ্ধ হন উপমহাদেশের অনেকেই। ২৫ হাজারেরও বেশি গান তিনি গেয়েছেন। ১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা । সঙ্গীত জগৎের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন এই প্রবাদ প্রতিম শিল্পী । ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি । এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লতার সুরেলা কন্ঠের জাদুতে বুঁদ প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করবার নিরিখে ‘গিনেস বুক’-এ নাম উঠেছিল কোকিলকন্ঠীর। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করবার অনন্য নজির গড়েছেন লতা মঙ্গেশকর। ২০০১ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়েছে। ৯২ বছর বয়সী এই শিল্পী ভীষণ অ্যাক্টিভ সোশ্যাল মিডিয়ায়।
টুইটারের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন অনুরাগীদের সঙ্গে, তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন ফ্যানেরা। দ্রুত সেরে উঠুক সবার প্রিয় লতা দিদি, প্রার্থনা গোটা দেশের।