বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে রাজপথেই এর সমাধান হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত গণ–অনশনে অংশ নিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা হুঁশিয়ারি জানান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনশনে দিনভর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১০০ নেতা বক্তব্য দেনসরকারের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, তা না হলে আমাদের গণ–আন্দোলন শুরু করা হবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপনাদের পতন হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বরিশাল-১ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএদেশে সুচিকিৎসার দাবী করেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসা করা একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তেমনি একটি অধিকার। কিন্তু সরকার ভয় পাচ্ছে সে অধিকার দিতে । আজকের এই গণ-অনশনে সমগ্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল মত নির্বিশেষে মানুষের সংহতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে একদিকে সরকার আর একদিকে বেগম খালেদা জিয়ার পেছনের সমগ্র বাংলাদেশ। তিনি , অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তাঁর বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবী জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘সাত ঘণ্টা আমরা না খেয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করেছি এবং তাঁর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনশন করেছি। একই দাবিতে আগামী ২২ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ হবে। একই দিন দেশের সব জেলা, উপজেলা ও মহানগরে সমাবেশ হবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’