প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া হোগলা পাতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এক সময়ে প্রায় পরিবারের মানুষ হোগল পাতা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিস পত্র তৈরি করতো। সেগুলো নিজেদের কাজে ব্যবহার করাসহ কেউ কেউ বিক্রি করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এখন সেই হোগল পাতা আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ শিল্প হোগল পাতা প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগে নদী-নালা, খাল-বিলের পাশে দেখা যেত হোগল পাতা, বাতাস আসলেই যেনো হেলে পরতো একটা আর একটার উপরে। সেই সব দৃশ্যে দেখতেও ভালো লাগতো। এখন আর সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে না। আগেকার দিনের মানুষ হোগল পাতার চাটাই বিছানার নিচে ব্যবহার করতো, চাটাইয়ে করে ধান শুকাতো, নামাজ পড়ার পাটি, বাতাস করার পাখা, হাঁড়ি পাতিলে খাবার ঝুলিয়ে রাখার শিকাসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতো। এ কারণে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে হোগল পাতা দিয়ে এই সব জিনিস বোনার প্রচলন ছিল। এক প্রকার বেশ কদর ছিল হোগল পাতার।