সেঞ্চুরি দিয়েই শততম টেষ্ট ম্যাচ রাঙালেন মুশফিক। বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরির এটি ১২তম ঘটনা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তিন অঙ্ক ছুঁতে কেবল ১ রান প্রয়োজন ছিলো অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
দ্বিতীয় দিন সকালে ২১৩ বল খেলে ১০৬ রানে থামে তার ইনিংস।
বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের বলটি অতিরিক্ত বাউন্সের সঙ্গে টার্নও করে। সেটি আর সামলাতে পারেননি মুশফিক। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে থাকা ফিল্ডার বলবার্নির হাতে। এক হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। মুশফিক আউট হয়েছেন ১০৬ রান করে।
আউট হওয়ার আগেই ইতিহাস গড়েছেন মুশফিক। আউট হওয়ার পর আইরিশ খেলোয়াড়রা তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিবাদনও জানিয়েছেন।
মুশফিকের আগে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা নামগুলো বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক বড়। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ডে প্রথম নাম লেখান ইংল্যান্ডের কলিন কাউন্ড্রে। ১৯৮৯ সালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে তাতে যোগ দেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শততম টেস্টে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ। ইংল্যান্ডের আলেক স্ট্রুয়ার্ট। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক ভারতের বিপক্ষে শততম টেস্টে করেন ১৮৪ রান।
রিকি পন্টিং দুইবার নাম লেখান এই তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ২০১২ সালে নিজের শততম টেস্ট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১৩১ রান।
আরেক প্রোটিয়া ব্যাটার হাশিম আমলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোহেন্সবার্গে তার শততম টেস্ট রাঙান ১৩৪ রানের ইনিংস খেলে।
ইংল্যান্ডের জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার আরেকটু আলাদা। এই দুজনের নিজের শততম টেস্টে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইতে এই কীর্তি গড়েন রুট। ওয়ার্নার ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ঠিক ২০০ রান।