মঙ্গলবার, ০৩:৩১ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

আমি যুদ্ধ থামাতে পারি, শান্তি আনতে জানি-ডোনাল্ড ট্রাম্প

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৮ বার পঠিত

আমি যুদ্ধ থামাতে পারি, আমি শান্তি আনতে জানি- মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধ শেষ।’ এবার গাজায় হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির জন্য তিনি গেলেন ইসরায়েলে। যা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি টিকবে এবং গাজার জন্য একটি “বোর্ড অব পিস” বা শান্তি পর্ষদ দ্রুত গঠন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’ ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের ভূমিকাও প্রশংসা করেন।

স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর নাগাদ (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়) হামাসের হাতে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সময়সীমা শেষ হবে। পরে ট্রাম্প যাবেন মিসরে, সেখানে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিবেন তিনি, যার লক্ষ্য গাজা যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিশ্চিত করা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে বন্দি করা হয়। এর প্রতিশোধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু রয়েছে। এমন দাবি হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।

গত শুক্রবার সকালে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি আসে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় তৈরি ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে। পরবর্তী ধাপগুলো এখনো আলোচনায় রয়েছে।

ইসরায়েলি বন্দীদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, আর হামাস ২৮ জন মৃত বন্দীর দেহাবশেষ ফেরত দেবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটক ১ হাজার ৭০০ জন গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে, একই সঙ্গে গাজায় ত্রাণের পরিমাণও বাড়ানো হবে।

ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র জানান, জীবিত বন্দীরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর পরই এসব বন্দী মুক্তি দেওয়া হবে।

বিবিসির এক সাংবাদিকের প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যুদ্ধবিরতি টিকবে। বলেন, ‘সবাই এখন খুশি এবং আমার মনে হয় এভাবেই থাকবে।’

নিজের কূটনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধ থামাতে পারি। আমি শান্তি আনতে জানি।’

গাজা সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সেখানে অন্তত পা রাখতে চাই।’

আগামী কয়েক দশকে গাজা একটি অলৌকিক জায়গা হয়ে উঠবে বলে তার বিশ্বাস।

এ ছাড়া দ্রুতই একটি “বোর্ড অব পিস” বা তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা গঠন করা হবে, যা গাজার পুনর্গঠন ও শান্তি বাস্তবায়ন তদারকি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com