প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ভারতের বিহারের এক ব্যক্তি। তাতে আপত্তি করেন দ্বিতীয় স্ত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, নালন্দা জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ কুমার পাঁচ বছর আগে সুনিতা দেবীকে বিয়ে করেন।
সুনিতার বাবা জানান, বিয়ের পর তারা জানতে পারেন, ইতিপূর্বে এক স্ত্রী ছিল বিকাশ কুমারের, যার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি তার।
আগে একবার বিয়ের বিষয়টি জানার পরও সুনিতাকে বুঝিয়ে তাদের সঙ্গে রাখতে সক্ষম হয় বিকাশের পরিবার। সুনিতা দুটি সন্তানের জন্ম দেন এবং জন্মের পরপরই তাদের মৃত্যু হয়।
সন্তানদের মৃত্যুর পর প্রেমিকাকে বিয়ের কথা বলতে থাকেন বিকাশ। এ নিয়ে সুনিতার সঙ্গে ঘন ঘন ঝগড়া হয় তার, যার জেরে বাবার বাড়িতে চলে যান এ নারী।
গত মাসে দুর্গাপূজা শুরুর আগে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সুনিতাকে ফিরে আসতে বলেন বিকাশ। তার কথামতো শ্বশুরবাড়িতে যান গৃহবধূ।
এ নারীর ভাই জানান, শনিবার দুপুর ১টার দিকে সুনিতা কল করে জানান, বিকাশ তার ওপর পেট্রল ঢেলে তাকে বাড়ির আঙিনায় আটকে রেখেছেন। এরপর বিকাশ রান্নার গ্যাসের স্টোভের বাল্ব চালু করে তাতে ম্যাচের কাঠি ছুড়ে মারেন।
এক কর্মকর্তা জানান, ফোনে পরিবারকে সুনিতা বলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সুনিতার বাবার বাড়ির লোকজন তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছার সময় গৃহবধূর মরদেহ দাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিকাশের পরিবার।
সুনিতার পরিবারের লোকজনকে দেখে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় থানার স্টেশন হাউস অফিসার অনিল কুমার পান্ডে জানান, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। একটি টিম ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করেছে।
ময়নাতদন্ত শেষে নারীর মরদেহ ইতিমধ্যে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক আছে বলে জানান তিনি।