সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আসাদ উৎখাত হওয়ার পর এই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো সিরিয়ায়।গতকাল রবিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সিরিয়ার সুপ্রিম কমিটি ফর পিপলস অ্যাসেম্বলি ইলেকশনের প্রধান মোহাম্মদ আল-আহমাদ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দামেস্ক এবং কিছু প্রদেশের প্রধান শহরগুলোতে ভোটদান বেড়েছে। দামেস্কের গ্রামীণ অঞ্চল এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এ নির্বাচনকে দেশটির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমান শাসক পরোক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেছে। পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকার আহমেদ আল-শারার মাধ্যমে অনুমোদন পাবেন। বাকি সদস্যরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। সেই ভোটেরই আয়োজন হয়েছে।
পরোক্ষ ভোটে মোট ছয় হাজার নির্বাচক স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে আঞ্চলিক নির্বাচনী কলেজগুলোয় ভোট দেন।
নির্বাচনের আয়োজকেরা জানিয়েছেন পার্লামেন্টের ২১০টি আসনের জন্য এক হাজার ৫০০ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৪ শতাংশ। যারা এই ভোটে জিতবেন তারা ৩০ মাসের জন্য নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ, আড়াই বছরের জন্য তাদের নির্বাচিত করা হবে।