মরক্কোতে টানা পাঁচ রাত ধরে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। বুধবার দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে দু’জন নিহত হয়েছেন।
রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরের লেকলিয়া শহরে এই ঘটনা ঘটে।
সরকারি বার্তা সংস্থা এমএপি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায়, নিহত দু’জনকে ‘দাঙ্গাকারী’ বলা হয়েছে এবং পুলিশ নাকি আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। তাদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি।
এই মৃত্যুই চলমান বিক্ষোভে প্রথম প্রাণহানি। দেশজুড়ে সরকারি সেবার দুরবস্থা ও ব্যয়ের প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলন ক্রমেই সহিংস রূপ নিচ্ছে।
তরুণদের নেতৃত্বে ‘নেতাহীন’ এই আন্দোলন মরক্কোয় নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে। অনুমতি ছাড়াই আয়োজিত এই বিক্ষোভ সপ্তাহজুড়ে আরও নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
জেন জি তরুণরা অভিযোগ করছেন, দেশে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। তাদের স্লোগান ও পোস্টারে ফুটে উঠেছে-যেখানে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হচ্ছে, সেখানে স্কুল ও হাসপাতালগুলো তহবিলের অভাবে করুণ অবস্থায় পড়ে আছে।
তবে বুধবার সন্ধ্যায় একাধিক শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় স্লোগান অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায়। এর আগে কয়েকদিন ধরে এক ডজনের বেশি শহরে ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযানের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, বিশেষত সেসব এলাকায় যেখানে কর্মসংস্থান কম এবং সরকারি সেবা ভেঙে পড়েছে।
রাজধানী রাবাতের ঠিক পাশের দরিদ্র শহর সালেতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদক দেখেন, শত শত মুখোশধারী তরুণ-অধিকাংশই কিশোর-গাড়ি, ব্যাংক ও দোকানে আগুন লাগাচ্ছে, কাচ ভাঙছে এবং লুটপাট চালাচ্ছে। সে সময় আশেপাশে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।