মঙ্গলবার, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

কুকুর পালা কি জায়েজ?

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২২ বার পঠিত

কুকুর সবার পরিচিত প্রাণী। কুরআন ও হাদিসে কুকুরের প্রসঙ্গ একাধিকবার এসেছে।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন—“পৃথিবীতে বিচরণশীল যত প্রাণী আছে আর যত পাখি দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়, তারা সবাই তোমাদের মতো একেক জাতি।” (সুরা আনআম : ৩৮)

আসহাবে কাহাফের কাহিনীতেও কুকুরের উল্লেখ আছে। তারা যখন গুহায় আশ্রয় নিয়েছিল, তখন তাদের কুকুর দরজায় শুয়ে পাহারা দিচ্ছিল। (সুরা কাহাফ: ১৮, ২২)

কুকুর পালনের হুকুম

শরীয়তে বিনা কারণে, শখ করে কুকুর পোষা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—“যে ব্যক্তি পশু রক্ষাকারী কিংবা শিকারি কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালে, তার আমল থেকে প্রতিদিন দু’ কিরাত পরিমাণ সওয়াব কমে যায়।” (বুখারি ৫৪৮২, মুসলিম ১৫৭৫)

তবে শিকার, গবাদি পশু বা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার জন্য কিংবা বাড়িঘর রক্ষার প্রয়োজনে কুকুর পালন করা জায়েজ। এ অবস্থায় ফেরেশতা প্রবেশে বাঁধা হয় না।

কুকুর ঘরে রাখলে ফেরেশতা প্রবেশ করে কি?

হাদিসে আছে—“যে বাড়িতে কুকুর থাকে ও প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।” (বুখারি ৩২২৫, ইবনে মাজাহ ৩৬৪৯)

তবে পাহারাদার কুকুরের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম রয়েছে।

কুকুর স্পর্শ করা ও কোলে নেওয়া

কুকুরের লালা নাপাক। শরীরে বা কাপড়ে লাগলে নামাজের আগে ধুয়ে ফেলা জরুরি। অযথা কোলে নেওয়া বা আদর করা জায়েজ নয়।

কুকুর হত্যা করা যাবে কি?

মানুষের জন্য ক্ষতিকর হলে বা পাগলা কুকুর হলে হত্যা করা জায়েজ। তবে বিনা কারণে হত্যা করা হারাম। (বুখারি ৩০৮০, ইবনে মাজাহ ৩০৮৯)

কুকুরকে দয়া করা:

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক পতিতা নারী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে ক্ষমা লাভ করেছিল। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন—“পশুপাখির সঙ্গেও কি সওয়াব আছে?”

তিনি উত্তর দিলেন—“হ্যাঁ, প্রত্যেক প্রাণীর সঙ্গেই সদ্ব্যবহারের বিনিময়ে সওয়াব রয়েছে।” (বুখারি ৩৩২১, মুসলিম ২২৪৫)

মোটকথা কুকুর আল্লাহর সৃষ্টি। তবে ইসলামে প্রয়োজন ছাড়া কুকুর পোষা অনুমোদিত নয়। কেবল শিকার, পাহারা বা জরুরি প্রয়োজনে কুকুর রাখা জায়েজ। শখের বসে কুকুর পোষা, কোলে নেওয়া বা অতিরিক্ত স্নেহ দেখানো ইসলামসম্মত নয়।

সূত্র: আল কুরআন : সুরা আনআম ৩৮, সুরা কাহাফ ১৮, ২২, সহিহ বুখারি: হাদিস ৩২২৫, ৫০৮১, ৫৪৮২, ৩০৮০, ৩৩২১, সহিহ মুসলিম: হাদিস ১৫৭৫, ২২৪৫, ৩৮৯, সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস ৯৫২, ৩৬৪৯, ৩০৮৯, ফতোয়ায়ে আলমগিরি ৪/২৪২; ফতোয়াতে মাহমুদিয়া ১৮/২৬৪

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com