তানজিম সাইয়ারা তটিনী। অনবদ্য অভিনয়ের কল্যাণে অল্পসময়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে নাটক নিয়েই তার যত ব্যস্ততা। চলতি মাসে শুটিং শুরু করবেন ওটিটিতে। নাটকে অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জাহিদ ভূঁইয়া
সাম্প্রতিক সময়ে কোন কোন নাটকে শুটিং করলেন?
কদিন আগেই ‘ক্যাপিটাল অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের একটি নাটকের কাজ করেছি। ৯০ দশকের গল্প উঠে এসেছে এতে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় নাটকে আমার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। এ ছাড়া অপূর্ব ভাইয়ের বিপরীতে আরেকটি নাটক করেছি। সেটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। নাটকে আমার চরিত্রটি বেশ চটপটে, চঞ্চল। নতুনত্ব আছে। চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছি। দেখা যাক, দর্শক কতটা গ্রহণ করেন। সিনেমাওয়ালার অন্য একটি নাটকে অভিনয় করেছি ইয়াশ রোহানের বিপরীতে। আশ্রমের গল্প নিয়ে সেটি নির্মাণ করা হয়েছে।
শুনলাম ওটিটিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ওটিটি মাধ্যমে কাজ করব। নির্মাণে থাকবেন শিহাব শাহীন। বাকিটা শুটিং শুরু হলে জানাতে পারব।
‘শালিক বালিকা’ ও ‘ভালো থেকো’ নিয়ে দর্শকের কেমন প্রশংসা পাচ্ছেন?
দুটি নাটক নিয়েই দর্শকের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এটা অবশ্যই ভালো লাগার বিষয়। কারণ দর্শকের জন্যই কাজ করি, তাদের ভালো লাগলে পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। ‘ভালো থেকো’ সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ৫ জুলাই। এটি নির্মাণ করেন ইমরাউল রাফাত। ইতোমধ্যে নাটকটির ভিউ ১ কোটি ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে মাছরাঙা টিভির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘শালিক বালিকা’ নির্মাণ করেন মাহমুদ মাহিন। পরে ৭ আগস্ট সুলতান এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি অবমুক্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত এর ভিউ ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। দুটি নাটকেই আমার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন ইয়াশ রোহান।
বেশির ভাগ নাটকেই আপনার সঙ্গে ইয়াশকে দেখা যাচ্ছে। আপনাদের জুটি কি পোক্ত জুটি হতে চলেছে?
এ বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে দর্শকের ওপর। তারা পছন্দ করছেন বলেই হয়তো নির্মাতা-প্রযোজকরা আমাদের নিয়ে কাজ করছেন। আমার কাছে মনে হয়, একসঙ্গে অনেক নাটকে অভিনয় করলে কাজের বোঝাপড়াটা ভালো হয়।
প্রায়ই আপনাদের মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়, এর কোনো সত্যতা আছে?
এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন আগেও হয়েছি। তবে এটা কেবলই গুঞ্জন। আরেকটা সবার উদ্দেশে বলতে চাই, কাজের বাইরে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে পছন্দ করি না। মানুষের অনেক কিছু বলার ও মনে করার বিষয় আছে। তারা যা খুশি মনে করতে পারে। তবে হ্যাঁ, ইয়াশ কাজের জায়গায় ভালো বন্ধু।
যখন নিজের অভিনয় পর্দায় দেখেন, তখন কী মনে হয়- আরও ভালো করা যেত?
ভালোর শেষ নেই। অভিনয়ের ব্যাপারে কথাটি আরও যুক্তিযুক্ত। নিজের কাজ যখন দেখি, তখন মনে হয়, অনেক জায়গায় আরও ভালো করতে পারতাম। পরবর্তী কাজগুলোয় যেন ভুল না হয়, সেটা আগের কাজ থেকে শিক্ষা নিই। আবার কোথাও দর্শকদের কোনো অংশ পছন্দ না হলে সেটা খুঁটিয়ে দেখি। পরে যেন উন্নতি করা যায়। নিজের ভুল যেন ধরতে না পারি, সেই চেষ্টা করি।
তটিনী থেকে অন্য চরিত্র হয়ে উঠতে কতটা কষ্ট করতে হয়?
কষ্ট তো অবশ্যই আছে। সেই সঙ্গে ভালো লাগাও কাজ করে। কেননা আমি যা নই, পর্দায় তাই হচ্ছি। নানারকম মানুষের চরিত্র হয়ে উঠছি। তবে বিশ্বাসযোগ্য চরিত্র হয়ে উঠার চেষ্টাটা থাকে সব সময়। দর্শক যেন অনেক দিন মনে রাখেন, তার জন্য অনেক পরিশ্রম করি।
বড়পর্দায় অভিষেক হবে কবে?
আপাতত মন দিয়ে নাটকটাই করতে চাই। হুট করে সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। কেননা ভালো গল্প, চরিত্র এবং পরিচালক পেতে হবে। অনেক চিন্তাভাবনা আছে। তারপর সব ঠিক করব। কিন্তু ইচ্ছে তো সবার মতো আমারও আছে।