রবিবার, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

এ সপ্তাহে দেখা যাবে কর্ন মুন, সঙ্গে শনি

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২১ বার পঠিত

চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দারুণ এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে মানুষ। এই সপ্তাহের শেষ দিকে আকাশের পূর্ব দিগন্তে উদিত হবে বিরাট চাঁদ ‘কর্ন মুন’। ধীরে ধীরে যা পরিণত হবে ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তাভ চাঁদে। চাঁদের সঙ্গেই নজর কাড়বে ছোট স্থির আলোর মতো দেখতে শনিগ্রহ।

আগে ইতিহাসে প্রতিটি পূর্ণিমাকে সেই মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা প্রকৃতির বড় পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ধরত মানুষ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রতিটি পূর্ণিমাকে এক বা একাধিক বিশেষ নামে ডাকা হয়েছে। সে হিসেবে সেপ্টেম্বরকে শস্যের মাস ধরে এ সময় হওয়া পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘কর্ন মুন’।

বিবিসির স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কর্ন মুন দেখা যাবে পূর্ব আকাশে। অবস্থানভেদে রক্তাভ চাঁদের গ্রহণও দেখা যেতে পারে। চাঁদের সঙ্গেই দেখা যাবে শনি গ্রহ। এতে রাতের আকাশে তৈরি হবে এক অপূর্ব দৃশ্য।

আকাশে পূর্ণ চাঁদ আর তার উজ্জ্বল জ্যোৎস্না সবসময়ই মানুষকে মুগ্ধ করেছে। কৃত্রিম আলোর আবির্ভাবের অনেক আগে এটি সত্যিকারের মহাজাগতিক দর্শনীয় বস্তু ছিল। এই চাঁদ বছরের প্রতিটি মাসে একবার (বা তার বেশি) সন্ধ্যা আকাশের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে চরাচর আলোকিত করত। একইভাবে প্রতি মাসে রাতের আকাশে পূর্ণ চাঁদের উপস্থিতি ঐতিহ্যগতভাবে সেই মাসে প্রকৃতির বড় ঘটনা বা পরিবর্তনকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরত মানুষের কাছে। সেপ্টেম্বরের পূর্ণ চাঁদকে উত্তর আমেরিকার মানুষ নাম দিয়েছে ‘কর্ন মুন’। কারণ এটি এমন সময় দেখা যায়, যখন উত্তর আমেরিকায় ঐতিহ্যগতভাবে ভুট্টা কাটা হতো।

সেপ্টেম্বরের পূর্ণ চাঁদকে কখনও কখনও ‘হারভেস্ট মুন’ নামেও ডাকা হয়। এর কারণ হলো, হারভেস্ট মুন হলো সেপ্টেম্বরের বিষুবরেখার সবচেয়ে কাছের পূর্ণ চাঁদ। জ্যোতির্বিদরা বলছেন, চলতি বছর ৬ অক্টোবর আকাশে ‘হারভেস্ট মুন’ দেখা যেতে পারে। যার অর্থ এই বছরের ‘কর্ন মুন’ ‘হারভেস্ট মুন’ নয়।

জানা গেছে, ৭ সেপ্টেম্বর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণও দেখা যেতে পারে। চন্দ্রগ্রহণ তখনই ঘটে, যখন পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে থাকে। সূর্যের আলো পৃথিবীর ঘন বায়ুমণ্ডল দ্বারা প্রতিসরিত এবং বিক্ষিপ্ত হয়। যখন এ আলো চাঁদের পৃষ্ঠে আঘাত করে, তখন উপগ্রহটিকে লালচে দেখায়।

বিবিসি আরও জানায়, ৭ সেপ্টেম্বরের রাত শুধু পূর্ণিমা বা ব্লাড মুনের জন্যই বিশেষ নয়, এ দিন চাঁদ ও শনি গ্রহকেও আকাশে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে। খালি চোখে শনিকে চাঁদের খুব কাছে দেখা যাবে উজ্জ্বল বিন্দুর মতো। তবে কেউ টেলিস্কোপে দেখলে শনির বলয়ও দেখতে পারেন। এ ঘটনা খুবই বিরল না হলেও একসঙ্গে পূর্ণিমা, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ও শনি গ্রহ দেখা জ্যোতির্বিজ্ঞানপ্রেমীদের কাছে বিশেষ মুহূর্তই বলা চলে।

জানা গেছে, ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদ ও শনি গ্রহ আকাশের একই অংশে দেখা যাবে। এতে করে খালি চোখেই একসঙ্গে কর্ন মুন ও শনি গ্রহের দারুণ সুন্দর যুগলবন্দির দেখা মিলবে আকাশে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com