অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন মো. আসাদুজ্জামান।তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কাছে আমি নমিনেশন চেয়েছি। আমি আশাবাদী নমিনেশন পাব।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছেন জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।’
এ সময় ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি অভিযোগ করেন, কোনো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর তিনি যে রায় পরিবর্তন করেছেন, তা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী একটি অপরাধ। কোনো একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, যে রায় আপিল বিভাগ দেবেন, সেই রায় আগামী প্রজন্ম ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ আসনে (পরের দিন একটি আসনে মনোনয়ন স্থগিত) সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেদিন ঝিনাইদহের চারটি আসনের মধ্যে শুধু ঝিনাইদহ-৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। বাকি তিনটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এর মধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসন অ্যাটর্নি জেনারেলের জন্য ও ঝিনাইদহ-২ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের জন্য বিএনপি রেখে দিয়েছে বলে জানা গেছে।