বুধবার, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয়

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ১৯ বার পঠিত

২০৫ রানের পুঁজি নিয়েও পারল না বাংলাদেশ। রেকর্ড রান তাড়ায় ২ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

গতকাল সোমবার শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে ২০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় আমিরাত।

শেষ ২ ওভারে আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। দৃশ্যত মনে হয়েছে বাংলাদেশ ভেবেছে টেলএন্ডার ব্যাটাররা এই রান তুলতে পারবেন না। যার খেসারত দিতে হয়েছে টাইগারদের।

ভুলটা করলেন শরিফুল ইসলাম। ১৯তম ওভারে তিনি দিলেন ১৭ রান। ওভারের শেষ বলে গিয়ে ওভার থ্রোতে বাউন্ডারি খেয়ে বসলেন। অহেতুক ৫টি রান হজম করে হারতে হলো টাইগারদের।

তবুও, শেষ ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ১২ রান। তানজিম হাসান সাকিব প্রথমেই দিলেন ওয়াইড। পরের বলে ১ রান। এরপর খেলেন ছক্কা। ৪ বলে ৪ রান প্রয়োজন। তৃতীয় বলটিতে দারুণ ডেলিভারি দিলেন, বোল্ড হলো ব্যাটার। ম্যাচ তখন জমে উঠলো।

তিন বলে চার রান দরকার। মাতিউল্লাহ ১ রান নিলেন। চাপের মুখে চতুর্থ বলটিকে নো করে বসলেন তানজিম। এসময় রান আউটেরও দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু উইকেটরক্ষক জাকের আলির দুর্বল থ্রো এবং তানজিম সাকিবের তৎপরতার অভাবে রানআউট হলো না। পরের বলে ২ রান নিলেন হায়দার আলি। রান আউটের এবারও দারুণ সুযোগ। কিন্তু তাওহিদ হৃদয় বলটা প্রথমে থ্রো করেননি। কিন্তু যখন থ্রো করলেন তখন দেরি হয়ে গেছে। প্রথমে থ্রো করলেও রান আউট হতো নিশ্চিত।

ছোট ছোট এসব ভুলের কারণে ২০৫ রান করেও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো বাংলাদেশকে।

এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশকে ৯ ওভারে ৯০ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। ১৪ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি পেল বাংলাদেশ।

এসময় মাত্র ২৫ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তানজিদ। দশম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৫৯ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পেয়ে ৪০ রানে আউট হন অধিনায়ক লিটন। অধিনায়ক হিসেবে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ৩২ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছক্কা মারেন তিনি।

দলীয় ১২৫ রানে লিটন ফেরার পর নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে ২৫ বলে ৩৮ এবং জাকের আলিকে নিয়ে ১৩ বলে ৩৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের পথ তৈরি করেন তাওহিদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে বাংলাদেশ।

২৪ ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। গত বছরের মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২০৩ রান করেছিল টাইগাররা।

টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে সপ্তমবার ২০০ এবং আরব আমিরাতের বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চ দলীয় বাংলাদেশের।

৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হৃদয় ২৪ বলে ৪৫, ২টি চার ও ১টি ছক্কায় শান্ত ১৯ বলে ২৭ এবং ১টি চার ও ২টি ছক্কায় জাকের ৬ বলে ১৮ রানে আউট হন। শেষ দিকে শামীম হোসেন ৬ ও রিশাদ হোসেন ২ রানে অপরাজিত থাকেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ ৩ এবং সগির খান ২ উইকেট নেন। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে তৃতীয় ম্যাচটিই হবে সিরিজ নির্ধারণী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com