বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

‘ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয়’

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি। তাই আমরা শুধু ‘ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’ মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করেছি।

তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাঙ্গণে চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, দেশের সব জনগোষ্ঠী, সব ঐতিহ্য- সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য সব কিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। তবে এখানে টিপিক্যাল রাজনীতির কিছু নেই।

এবার শোভাযাত্রা নাম পরিবর্তন নিয়ে চারুকলার কিছু শিক্ষার্থীর প্রশ্নের বিষয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নাম ছিল বর্ষবরণ শোভাযাত্রা যশোরে। সেখান থেকে ঢাকায় আসার পর নাম হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর চাপানো হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারুকলায় যে নামে চালু হয়েছিল সেই নামে শুরু হবে।

‘অনেকদিন ধরে এটাকে আমরা বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। কিন্তু এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব। কারণ বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারোসহ সব জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে,’ যোগ করেন তিনি।

এদিন সকাল ৯টায় শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার র‍্যালি সাড়ে ১০টার দিকে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে টিএসসি দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।

শোভাযাত্রার সামনে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি ঘোড়ার বহর। এরপরই ছিল দেশের ২৮টি নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ। এরপর ছিল চারুকলা অনুষদের মূল ব্যানার। আরও ছিল ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, মাছ, শান্তির পায়রা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নাম, পানির বোতল, ৩৬ জুলাইয়ের একটি মোটিফ, ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি স্ক্রল প্রভৃতি।

শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ প্রদর্শন হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিভ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। তাছাড়া, পায়রা, মাছ, বাঘ ও মুগ্ধর আলোচিত পানির বোতল প্রদর্শন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com