মঙ্গলবার, ০৩:২০ অপরাহ্ন, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

লুটের ওপর লুট

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২ বার পঠিত

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানটি থেকে লুট হওয়া অর্থ উত্তোলনের জন্য পর্ষদ গঠন করে দিয়েছিলেন আদালত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবসায়নের সিদ্ধান্তের বিপরীতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। প্রশান্ত কুমার (পি কে হালদার) ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের লুটপাটের পর ২০২০ সালে অবসরপ্রাপ্ত এক আমলাকে চেয়ারম্যান করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। কিন্তু ৫ বছরেও প্রতিষ্ঠানটির কোনো উন্নতি করতে পারেনি আদালতের গঠন করে দেওয়া পর্ষদ। উল্টো আরও অবনতি হয়েছে।

অন্যদিকে, ৩ লাখ টাকা বেতন নেওয়া পর্ষদ চেয়ারম্যান নিজেই একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মালিক। সেই এনজিও দিয়ে তিনি কিনিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের বন্ধকি সম্পদ। কম দামে সম্পদ কিনেই থেমে থাকেননি চেয়ারম্যান, স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মোটা অঙ্কের সুদ মওকুফ, দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাকেও দেখিয়েছেন বৃদ্ধাঙ্গুলি। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তাদের মামলার হুমকিও দিয়েছেন চেয়ারম্যান। এমন পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুনভিত্তিক হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি ঋণের হার ৯৪ শতাংশ। সিআরআর রেশিও ১১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ঋণাত্মক (নেগেটিভ)। নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্থিতি উন্নতির জন্য পর্ষদ দেওয়া হলেও উন্নয়নের বদলে হয়েছে অবনতি।

পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড (কুমিরের খামার) ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ঋণখেলাপি গ্রাহক। ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত খামারটি ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের কাছে বন্ধকীকৃত ছিল। ২০২২ সালের মার্চভিত্তিক হিসাবে খামারটির কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পাওনা ছিল ৯১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ঋণটি মন্দমানে খেলাপি থাকা সত্ত্বেও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফের ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি প্রার্থনা করে। অনাপত্তি গ্রহণকালে খামার সম্পর্কে একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। নতুন করে ঋণ বিতরণ করা হলে সেই অর্থ দিয়ে কুমিরের খামারকে লাভজনক করে আগের বকেয়া স্থিতি আদায় করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

যদিও ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৭(ক) (ক) (৩) ধারা অনুসারে, খেলাপি গ্রহীতার অনুকূলে ফের ঋণ বিতরণ করার সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ আদালতের আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি গ্রহণ করে। নতুন করে ঋণ বিতরণের পরে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কুমিরের খামারকে উদ্দীপন নামক একটি এনজিওর কাছে মাত্র ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করে দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, কুমিরের খামার ক্রয় করা উদ্দীপন নামক এনজিওর চেয়ারম্যান একই সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়েরও চেয়ারম্যান ছিলেন। বিক্রয় দলিলটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দলিল গ্রহীতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে একই ব্যক্তির নাম নিবন্ধিত। প্রতিবেদনে বিষয়টি জালিয়াতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্রেতা ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে আসীন থাকায় ওই বিক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে। খেলাপি প্রতিষ্ঠান কুমিরের খামারের অনুকূলে ৯১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাওনা থাকা সত্ত্বেও ফের ঋণ বিতরণ করা হয়। অথচ পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ ঋণ আদায়ে চেষ্টা না করেই খামারটিকে বিক্রি করে দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। অনিয়মের এখানেই শেষ নয়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পর্ষদ সভার অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি শাখার নানারকম সম্পদ কুমিরের খামারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিক্রির সময় খামারটিতে ২ হাজার কুমির রয়েছে উল্লেখ করা হলেও সে সময় খামারে কুমিরের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭১৪টি। অর্থাৎ ১ হাজার ৭১৪টি কুমিরের তথ্য লুকিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। ওই সময় ৩ হাজার ৭০০ কুমিরের বাজার মূল্য ছিল ৩১ কোটি টাকার বেশি। একই সঙ্গে এই কুমিরের খামারের ১৪ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত ছিল আরেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফাস্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডে। মালিকানা পরিবর্তনের ফলে এ অর্থের মালিকও হয় বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপন। অর্থাৎ ৩৮ কোটি ২০ লাখে ক্রয় করা খামারের কুমির আর স্থায়ী আমানতই রয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। আর খামারের মূল্য এই হিসাবেরই বাইরে।

শুধু কুমিরের খামারই নয়, এ অ্যান্ড পি ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বিপুল অঙ্কের সুদ মওকুফের সুবিধা দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ২০১৬-১৭ সালে এ অ্যান্ড পি ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অনুকূলে ৬০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান একজন সাবেক সচিব। ঋণ চুক্তির আওতায় বিভিন্ন স্থানে মোট ৩২৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ জমি জামানত হিসেবে বন্ধকীকরণ করার কথা থাকলেও গ্রাহক সেটা করেননি। এতে প্রমাণিত হয়, ঋণসংক্রান্ত যথাযথ নিয়ম না মেনেই গ্রাহক ওই ঋণটি নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ঋণটি অনাদায়ি হয়ে পড়ে। পরে ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ২৭০তম পর্ষদ সভায় এ অ্যান্ড পি ব্যাটারির ২০২৩ সালের আগস্টভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী মোট স্থিতি ১০৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা থেকে ৪০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মওকুফ করে ঋণ চুক্তি পুনঃতপশিলকরণ অনুমোদিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৩১ ধারার বিধান অনুসারে ঋণের সুদ বা মুনাফা মওকুফের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের তহবিল ব্যয় (কস্ট অব ফান্ড) আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের বিধান থাকলেও এ অ্যান্ড পি ব্যাটারির ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।

পরিদর্শনে দেখা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ঋণ মঞ্জুরি প্রক্রিয়া ও মজুরীকৃত অন্যান্য ঋণের বিষয়েও আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ১২ কোটি টাকা মূল্যমানের যোগ্য জামানত প্রস্তাব করে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের অনুকূলে ১৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদানে অনাপত্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। তিন বছরের জন্য বার্ষিক ১১ শতাংশ সুদহারে এই ঋণের জন্য অনাপত্তি চাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত গ্রহণ করাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করার শর্তে অনাপত্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, যথাযথ তদারকির অভাবে বর্তমানে ঋণটি অনিয়মিত হিসেবে রয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী আরামিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানের কাছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ঋণ চলমান থাকা অবস্থাতেই গাড়ি ক্রয় বাবদ আরও ২ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। তবে, কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে গাড়ি ক্রয়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ প্রদানে অনাপত্তি দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

একই অবস্থা এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিকেল ইন্ডান্ট্রিজ লিমিটেডের ক্ষেত্রে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা সম্প্রসারণে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদহারে পাঁচ বছর মেয়াদি ৮ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব করা হয়। তবে, ফাইন্যান্স কোম্পানির আর্থিক সূচকগুলোর দুরবস্থা, আলোচ্য ঋণের বিপরীতে প্রস্তাবিত জামানতের মূল্যমান ঋণের পরিমাণের তুলনায় কম হওয়া এবং প্রস্তাবিত জামানতের মূল দলিল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে দায়বন্ধ রেখে ঋণ গ্রহণের ঝুঁকি বিবেচনায় প্রস্তাবিত ঋণের অনুমোদন নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সুপার সিলিকা বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে ৫ কোটি টাকা পাঁচ বছরের জন্য ১১ শতাংশ হার সুদে বিনিয়োগের প্রস্তাব করা হয়। তবে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর নির্দেশনা মোতাবেক পর্যাপ্ত জামানত নিশ্চিত না করায় ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া তাহের রাহুল নামে এক ব্যক্তির অনুকূলে ২ কোটি টাকা ১০ বছরের জন্য বার্ষিক ১২ শতাংশ হার সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়। তবে, ফাইন্যান্স কোম্পানির আর্থিক সূচকগুলোর দুরবস্থা, প্রস্তাবিত ঋণের পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গৃহঋণ নীতিমালার বেশি হওয়া এবং সরবরাহকৃত নথিপত্রের সঠিকতা যাচাই সম্ভব না হওয়ায় প্রস্তাবটি নাকচ করা হয়। অর্থাৎ ঋণ প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দিতে ব্যস্ত ছিল ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ।

সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান কালবেলাকে বলেন, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগগুলো সেই অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করে। এতে অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যাংক কোম্পানি আইন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং যেহেতু আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, সেজন্য কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালতকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবহিত করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শন পরিচালনা করলে অভিযোগগুলোর অনেকাংশেরই প্রমাণ পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিদর্শনে গেলে আমাদের কর্মকর্তাকে হুমকিও দেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পর্ষদ চেয়ারম্যান। পরে আমরা অনিয়মের বিষয়গুলো আদালতকে অবহিত করলে আদালত পর্ষদ পুনর্গঠিত করে দেন।

নতুন পর্ষদে যারা আসছেন: ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের বর্তমান পর্ষদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে গত ফেব্রুয়ারিতে পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত দেন আদালত। নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সাবেক ডেপুটি অডিটর জেনারেল মাহবুবুল হককে। এ ছাড়া বোর্ড সদস্য হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবদুল মান্নান ও মুস্তাফিজুর রহমান সরদার, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এসইভিপি আশরাফুজ্জামান, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি আবু হাসিব খায়রুল কবির, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ আলী এবং এক্সট্রা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ মুশফিক আনাম।

আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান হিসেবে মাসিক দেড় লাখ টাকা বেতন গ্রহণ করতে পারবেন। আর অন্য পর্ষদ সদস্যরা প্রত্যেক সভায় ভাতা হিসাবে ১০ হাজার টাকা পাবেন। তবে এক মাসে সর্বোচ্চ তিনটি সভা থেকে তারা ভাতা নিতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com