৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে পাকিস্তান। সিরিজ ধরে রাখার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে কিউইরা করল ২০৪ রান। বিশাল এই রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গী ২২ বছরের তরুণ হাসান নওয়াজ। আগের দুই টি-টোয়েন্টিতে যিনি কোনো রানই পাননি। অথচ, ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেমেই তৈরি করলেন ইতিহাস।
আজ শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেই পাকিস্তানকে জেতালেন হাসান। কিউইদের দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য ৪ ওভার বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। ৪৪ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া হাসান অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ১০৫ রান করে। ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক সালমান আলী আগা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাসে দুই শ’র বেশি রান তাড়া করতে নেমে এত কম বলে জয় পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে এই রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ১৪ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেও পাকিস্তানের রেকর্ড গড়েন হাসান। দেশটির হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগের রেকর্ডটি ছিল বাবর আজমের। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ৫৮ বলেও একটি সেঞ্চুরি আছে বাবরের। সমান বলে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব আছে সাবেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদেরও।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন হাসান নওয়াজ। ছবি: পিসিবি
অকল্যান্ডে আজ প্রথমে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের দুই শ রান ছাড়ানোর কারিগর তিন নম্বরে নামা মার্ক চাপম্যান। ৪৪ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৩১ রান করেন অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার হারিস রউফ।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়েই ৭৪ রান যোগ করেন হারিস ও হাসান। তখনো পাওয়ার প্লে শেষ হয়নি। ২০ বলে ৪১ রান করে হারিস ফিরলেও তাণ্ডবলীলা চালাতে থাকেন হারিস। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ক সালমান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১৩৩ রানের জুটি গড়েই দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান এই দুজন। সিরিজ হারের থেকেও বাঁচান দলকে।