চলতি বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ আগামী ২৯ মার্চ দেখা যাবে। তবে সূর্যগ্রহণটি হবে আংশিক। এর ফলে সূর্যের শুধুমাত্র একটি অংশ ঢাকা পড়বে। একই সঙ্গে আগামী ১৪ মার্চ হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও এটি।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে এই সূর্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যায় ৬টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। অন্তত চার ঘণ্টা এর স্থায়িত্বকাল থাকবে। বিকাল ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে চাঁদ সূর্যকে আংশিকভাবে ঢেকে ফেলবে।
এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আটলান্টিক মহাসাগর, অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগর, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। তবে ভারত থেকে এর দেখা মিলবে না।
মহাজাগতিক এই ঘটনাটি ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে এবং সরাসরি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অবস্থান করে। ফলে সূর্যের আলো আটকে যায় এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে একটি কালো ছায়া পড়ে।
চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে নিরাপদে দেখা গেলেও সূর্যগ্রহণ সরাসরি দেখা উচিত নয়। কারণ এর ফলে চোখের রেটিনা ক্ষতি হতে পারে। এজন্য সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের সময় চোখের সুরক্ষা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এ বছর দুটি সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। যার মধ্যে একটি আগামী ২৯ মার্চ এবং দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২১ সেপ্টেম্বর।
এছাড়া এ বছর দুটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। যার একটি আগামী ১৪ মার্চ এবং দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে ৭ সেপ্টেম্বর।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, উত্তর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এলাকায় চন্দ্রগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। বাংলাদেশ থেকে এটি দেখা যাবে না।
গ্রহণের বিবরণীতে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশ ঘটবে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে পূর্ণ গ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে ১২টা ৫৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। পূর্ণ গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ১টা ৩১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। উপচ্ছায়া থেকে চাঁদের নির্গমন হবে বিকেল ৪টা ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।