স্বদেশ ডেস্ক:
সৌদি আরবে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ শনিবার থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এদিকে আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে তারাবি নামাজ ও রোজা রাখা শুরু করেছে চাঁদপুরের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জের ঐতিহাসিক সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী।
আগাম রোজা রাখা গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানি এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, ‘আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯৩২ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।’
তিনি আরও বলেন ‘প্রথমে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া শনিবার রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে, তার উপর নির্ভরশীল হয়ে আমরা রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। তবে প্রথমে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য না পাওয়ায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়। যার কারণে দেরিতে হলেও আমরা তারাবি ও রোজা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’