চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা নিয়ে দেশ ছাড়া বাংলাদেশ দল শুরুতেই খাবি খেয়েছে। দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেনের দল। আর ‘এ’ গ্রুপের খেলায় এই মুহূর্তে ভারতের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডেরও একটি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পয়েন্ট শূন্য অবস্থায় রয়েছে।
যদিও বাংলাদেশের সেমিফাইনালের ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। সেরা চারে থাকতে সব দলের জন্য ম্যাচই যে মাত্র ৩টি করে।
নিয়ম অনুযায়ী সেমিফাইনালে উঠতে হলে গ্রুপের সেরা দুইয়ে থাকতে হবে টাইগারদের। তবে পয়েন্ট শূন্য হলেও এই মুহূর্তে রান রেটের কারণে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। নাজমুলদের ম্যাচ বাকি দুটি। এই দুটি ম্যাচই হবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশের সামনে সেমিফাইনালে ওঠার কী কী সমীকরণ আছে।
১. বাকি দুই ম্যাচেই জয়
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান—দুই দলের বিপক্ষেই জেতে, পয়েন্ট হবে ৪। এরই মধ্যে এক ম্যাচ জিতে ফেলা ভারত ও নিউজিল্যান্ড যদি আরও একটি করে ম্যাচ জেতে, তবে তাদের পয়েন্টও হবে চার। সে ক্ষেত্রে সেরা দুই দল নির্ধারণ হবে রান রেটের ভিত্তিতে। আর রান রেট নির্ভর করবে বাকি ম্যাচগুলোর জয়-পরাজয়ের ব্যবধানের ভিত্তিতে।
২. দুই ম্যাচের একটিতে জয়
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে কিন্তু পাকিস্তানকে হারায়—তাহলে পয়েন্ট হবে দুই। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান-ভারত ও নিউজিল্যান্ড-ভারত ম্যাচের ফলের প্রভাব থাকবে। তবে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে পাকিস্তানের কাছে হারলে হিসাব একটু কঠিন হবে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের ২ পয়েন্ট আগে থেকেই আছে।
৩. দুই ম্যাচেই হার
নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান দুই দলের বিপক্ষেই হারলে কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। সরাসরিই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে।
৪. পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের প্রভাব
পাকিস্তান যদি ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের কাছে হারে, তাহলে বাংলাদেশ দলের সামনে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা বাড়বে। নেট রান রেট তখন বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে। আর যদি পাকিস্তান দল ভারতের বিপক্ষে জিতে যায়, তাহলে বাংলাদেশের পথ একটু কঠিন হয়ে যাবে।
মূল কথা হচ্ছে, বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে হবে। একটি জয় পেলেও শেষ চারে ওঠা সম্ভব, তবে সেটা নির্ভর করবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফল ও নেট রান রেটের ওপর।