রাত পোহালেই শুরু চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। দীর্ঘ সাত বছরের বিরতি শেষে ফের ফিরেছে বৈশ্বিক এই আসর। কাল ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞ। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে ৮ দলের এই টুর্নামেন্ট।
স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিচ্ছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। দুটো ভিন্ন গ্রুপে গড়াবে খেলা।
১৫ ম্যাচের এই বৈশ্বিক আসরকে নিয়ে ইতোমধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। সমর্থকরাও প্রস্তুত প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে। সমর্থন দেয়ার আগে চলুন জেনে আসা যাক চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খুটিনাটি।
১৯৯৮ সালে আইসিসি নক আউট ট্রফি নামে এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন হয়। যার প্রথম আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ। ৯ দল নিয়ে পর্দা উঠে বৈশ্বিক নবাগত এই আসরের। সেই আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় আসরও আয়োজন হয় একই নামে। ১১ দলের সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় নিউজিল্যান্ড। তবে ২০০২ সালে তৃতীয় আসরে এসে নক আউট ট্রফি থেকে নাম বদলে করা হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেবার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
সেই আসরের পর দীর্ঘ সাত বছর আর গড়ায়নি ক্রিকেটের এই আসর। তবে এবার ফের পাকিস্তানে বসতে চলেছে এই প্রতিযোগিতা।
দেখা যাক এবারের আসরে পুরনোদের মাঝেই ভাগাভাগি হয় শিরোপা নাকি দেখা দিবে নতুন মুখ! অপেক্ষা করতেই হচ্ছে ফাইনাল পর্যন্ত। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠা আট দলের এই লড়াইয়ের ফাইনাল ৯ মার্চ।
১৯ দিনের এই মোট ম্যাচ সংখ্যা ১৫টি। খেলা হবে মোট চারটা ভেন্যুতে। পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও করাচির সাথে খেলা হবে দুবাইয়ে।
৮ দলের এই টুর্নামেন্টেকে ভাগ করা হয়েছে দুটো গ্রুপে। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের তিন প্রতিপক্ষ ভারত, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপের চার দল-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।