পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের চরগাধাতলী এলাকায় বিএনপি নেত্রী তানিয়া আক্তারের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে ও শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়েছে আওয়ামী সমর্থক প্রতিপক্ষরা।
আহত অবস্থায় তাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত তানিয়া আক্তার উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা মহিলা দলের গুরুত্বপূর্ন নেত্রী।
মামলার এজাহারে বিএনপি নেত্রী তানিয়া অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে তিনি চরগাধাতলী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেটে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ২টা ১০ মিনিটের দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে দাড়িয়ে রিকসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী সমর্থক মোসা, ফাতেমা বেগম, তার স্বামী মো. হুমায়ুন কবির সেন্টু রাড়ী, ছেলে আল মানসুর রাড়ী ও মো. ফয়সাল রাড়ীসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন মিলে লাঠিশোটা নিয়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও গলা থেকে দেড় ভড়ি ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা তার প্রতিবেশী আওয়ামীলীগ সমর্থক পরিবার। অনেক পূর্ব হতে তাদের সাথে তানিয়ার পরিবারের শত্রুতা চলে আসছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, এ ঘটনায় বিএনপি নেত্রী তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ মোসা, ফাতেমা বেগম, তার স্বামী মো. হুমায়ুন কবির সেন্টু রাড়ী, ছেলে আল মানসুর রাড়ী ও মো. ফয়সাল রাড়ীসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ আসামী করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তানিয়ার অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী সমর্থক মো. হুমায়ুন কবির সেন্টু রাড়ী। তিনি বলেন, তানিয়া ও তার সহযোগীরা মিলে আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ আমার অভিযোগ গ্রহন করেনি।