ফেনীর দাগনভূঞায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, দাগনভূঁঞা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কে এম সাইমুন হক রাজিব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল হক জাবেদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মিরাজ, সোহেল, সাদ্দাম, চৌধুরি হৃদয়, জিতু। তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য আহতদের নাম, পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আহতদের দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের দুপক্ষ দাগনভূঞা বাজারে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের ডাক দেয়। বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি জামসেদুর রহমান ফটিক ও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল জাবেদ পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। গত বছররের ৫ আগস্টের পর থেকেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
বিবাদমান এক পক্ষের দাবি, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজি ফটিকের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে আহত হয় দাগনভূঁঞা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কে এম সাইমুন হক রাজিব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল হক জাবেদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক জানান, ফেনী জেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দাগনভূঞায় কোনো সভা, সমাবেশ বা মিছিল না করার। তারপরও বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ওই পক্ষ বারবার মিছিলের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। আর আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তার শুরু থেকে আমি ছিলাম না, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। তাদের হামলায় মিরাজ, সোহেল, সাদ্দাম, চৌধুরি হৃদয় ও জিতুসহ আমাদের প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন জানান, শুনেছি শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদল একটি মিছিলের ডাক দেয়। সেখানে বিনা উসকানিতে ফটিকের নেতৃত্বে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুনন্দ সেন বলেন, ‘আমরা ৯ জন আহতের চিকিৎসা দিয়েছি। একজনকে সিটিস্ক্যান করার জন্য ফেনীতে পাঠানো হয়েছে।’
দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। প্রাথমিকভাবে আমরা একজন পথচারী আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। সংঘর্ষে দুপক্ষের আহত থাকতে পারে। ধাওয়া খেয়ে উভয় পক্ষ পালিয়ে গেছে।