অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার আরেক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, ‘দণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দিয়েছেন আদালত।’
এদিকে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ই-ভ্যালি ডট কম লি. নামে একটি অনলাইন ই-কমার্স কোম্পানি তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করেন। এতে আকৃষ্ট হয়ে মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদ ২৩ লাখ টাকায় ১১টি মোটর সাইকেল অর্ডার করেন। তিনি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। ৭-৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারী দেওয়ার কথা থাকলেও তা সঠিক সময় সরবরাহ করা হয় না। উল্টো ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে আবুল কালাম আজাদকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরাধমূলক ভঙ্গ করে টাকা আত্মসাত করেন তারা।
এ কারণে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আবুল কালাম আজাদ।
আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই’র এসআই বাসুদেব সরকার গত বছরের ২৭ মার্চ রাসেল এবং শামীমা নাসরিনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩ জনের সাক্ষ্য করেন। আজ আদালত রায় দিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারী প্রতারণার দায়ে তাদের দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাদের। এরপর গত ৬ এপ্রিল আরেক মামলায় তাদের ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।