বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
আজ রবিবার রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ।
রিফাত রশীদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে নামে-বেনামে অনেক ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা যেদিন আত্মপ্রকাশ করেছিলাম, সেদিনই বলেছিলাম, এই ধরনের কোনো কিছুই বরদাশত করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কমিটিগুলো যখন গঠন করা হয়েছিল, গঠনের দায়িত্বে যারা ছিল, তারা যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মতের ভিতরে চলে গিয়েছে। তখন দেখা গেছে, তাদেরই শেল্টার, অন্য রাজনৈতিক দলের শেল্টারে অনেক সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা যারা, তাদের অনেকে বিপথগামী হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের মাঝে কিছু করাপশনের বিষয়গুলো আমরা লক্ষ্য করেছি।’
রিফাত রশীদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে কন্ট্রোল করা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অর্গানোগ্রামের জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছিল, সেখানে চারজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল কমিটির কার্যক্রম আজকে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হলো।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিতের ঘোষণা এলো।