বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেছেন, সরকারের কথা ও কাজের কোনো মিল নেই। তারা আমানতের খেয়ানত করছে। দেশে বিদ্যুৎ নেই, সারের দাম বাড়ালেন। দেশকে ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যাবো কোথায়? সুতরাং আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সরকারের।
বুধবার দুপুরে এক সভায় তিনি তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সরকার ইভিএমে নির্বাচন করতে চায় কেন?’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।
সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বুলু, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা মো: শুকুর মাহমুদ ববি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, সহ-সভাপতি আজিজুল হাই সোহাগ প্রমুখ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। সুতরাং নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। ভোট ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে। গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্বাচনী অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষে রয়েছে ছদ্মবেশী ডাকাত। হয় ছাত্রলীগ যুবলীগের লোক, নয়তো প্রশাসনের লোক বা ডিবির লোক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইভিএম নয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। কারণ দেখেন ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই তবুও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। অথচ ওইখানেই সাত মাসের একটা শিশু মারা গেছে।
আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার ফের ইভিএম ব্যবহার করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু এবার সেই খায়েশ তাদের পূরণ হবে না। অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।