বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সক্রিয় কর্মী মোঃ বাচ্চু সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালের ৭অক্টোবর তার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হারিছুর রহমান হারিছসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৮ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে বৃহস্পতিবার বিকেলে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার শিকার উপজেলার উত্তর চাঁদশী গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির সক্রিয় কর্মী মোঃ বাচ্চু সরদার বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর এ নিয়ে হারিছ গংদের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় এ যাবত মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হল।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আসামিরা উপজেলার চাঁদশী বাজারের রহিম তালুকদারের ফার্মেসীর সামনের রাস্তার ওপরে বসে মামলার বাদি মোঃ বাচ্চু সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়েছে। মামলার ১নং আসামী পৌর মেয়র হারিছ ও ২নং আসামী চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্দেশে বাদির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করা হয়।
মামলার এজাহার ভূক্ত অন্যান্য আসামীরা হল, মাহমুদুল রহমান সুমন মোল্লা, রাতুল শরীফ, সৈয়দ দিদার, রায়হান বেপারী, বরকত সরদার, মানিক সরদার, সুজন কর্মকার, লতিফ বেপারী, রাসেল ফকির, জাহিদুল সরদার, মাহির কজীতানজিল সরদার, আতিক সরদার, শাওন হাওলাদার, রনি শিকদার, সাহব হাওলাদার, রাসেল সরদার(মম্বার), রবিউল তালুকদার, নয়ন খান, শাহাদাত বেপারী, জুলহাস বেপারী, সৈয়দ তুহিন, সৈয়দ জসিম, সৈয়দ নুর, রহিম সরদার, মনিরুজ্জামান বেপারীসহ ২৮জন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪০জনকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইউনুস মিয়া জানান, মামলার ১নং আসামী গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হারিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতিপূবে গৌরনদী মডেল থানায় আরো ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সক্রিয় কর্মী মোঃ বাচ্চু সরদার বাদি হয়ে ৩য় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার আসামী মোঃ হারিছুর রহমান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হারিছুর রহমানসহ মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।