অবৈধভাবে সীমান্ত পথে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম রাউজানের (চট্টগ্রাম-৬) সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। তিনি জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ফারাজ করিম চৌধুরীর বাবা।
আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেতার আটকের খবরে তার নির্বাচনী এলাকা রাউজান জুড়ে মিষ্টি বিতরণ ও বিজয় মিছিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, কৃষক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ নির্যাতিত নিপীড়িত সর্বস্তরের জনসাধারণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ‘অবৈধভাবে’ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাকে আটক করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাউজান উপজেলায় পাহাড়তলি, বাগোয়ান, কদলপুর, জলিল নগর, গহিরা, হলদিয়া ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মিষ্টি, বিজয় মিছিল ও উল্লাসে ফেটে পড়েন নির্যাতিত, নিপীড়িত জনতা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
এইদিন বিকাল ৩টায় পাহাড়তলি চৌহমুনিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহের আলমের নেতৃত্বে বিশাল আনন্দ মিছিল পাহাড়তলি চৌমুহনী বাজার হতে বের হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চুয়েট গেইট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চৌমুহনী হয়ে উত্তরে গশ্চি বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এই সময় বিএনপির নেতা আব্দুল মান্নান, আবু জাফর, ছাত্রনেতা জাহেদুল ইসলাম, কামরুল হাসান মুরাদ, মো. সাদ্দামসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
একই সময় বাগোয়ান ইউনিয়নে গশ্চি অতিথি কমিউনিটি সেন্টার হতে একটি বিশাল মিছিল উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ তালুকদারের নেতৃত্ব বের হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের গশ্চি বাজার প্রদক্ষিণ করেন।
এসময় বিএনপি নেতা মোজাহের আলম, যুবদল নেতা মো. সেলিম, এম. ইয়াকুব আলী, মো.কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ মুরাদ, ইলিয়াস তালুকদারসহ অনেক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় কদলপুর ইউনিয়নে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন বাচলুর নেতৃত্ব আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরী। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর তিনি আড়ালে চলে যান।