জোয়ারের পানি আর পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলার অন্তত শতাধিক গ্রাম। বিশেষ করে ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।এর ফলে বিভিন্ন অংশে রেললাইনের উপর পানি উঠে যাওয়ায় সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইকনিক রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের রেলপথে বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে কক্সবাজার থেকে সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও বিশেষ ট্রেন চলাচল করে এ রুটে। সকালের ট্রেন যাওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নিরাপদ আশ্রয় ছুটছে এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ।
রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল, ডেঙ্গারচর, পশ্চিমবোমাংখিল, জুমপাড়া, পাতালবরপাড়া, রাজঘাট, জাউচপাড়া, মরিচ্যাচার, জুমছড়ি, পূর্বজুমছড়ি, মইন্যাকাটা, পূর্ববোমাংখিল, বোমাংখিল ও মাঝিরকাটার একাংশের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গর্জনিয়ার বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে শুকনা খাবার দরকার। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মানুষজনকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন।
ঈঁদগাও উপজেলার ইসলামাবাদ, পোকখালী ও ইসলামপুর এলাকার মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মৎস্যঘের, গবাদি পশুর খামার। এসব এলাকায় জরুরি সহায়তা চেয়েছেন উপজেলা যুব রেডক্রিসেন্টের টিম লিডার আজিজুল ইসলাম আরজু।
তিনি জানান, সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সবার উচিত তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছি।