চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু কিশোর বৃদ্ধসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পূর্ব হিঙ্গুলী ও করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৫ জন রোগী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগ।
কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন বারইয়ারহাট পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার খানসাবের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা (১৩), পূর্ব হিঙ্গুলীর খোকনের ছেলে রেজাউল (১১), হান্নানের মেয়ে মারুফা আক্তার (৩), মাইমুনা খাতুন (৭), রুবেলের মেয়ে প্রমি (৯), দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের মো: ইউসুফের মেয়ে লামিয়া (৯), ইসলামপুরের জামশেদ আলমের ছেলে মো: আরিয়ান (৩), নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুর মোর্শেদ (২০), মো: শহীদের ছেলে সায়মন (১৮), পূর্ব হিঙ্গুলীর ছেরাজুল হকের ছেলে আব্দুর রব (৮৪), দক্ষিণ অলিনগরের সিরাজুল হকের ছেলে আবু জাফর (৭০), ইসলামপুরের মো: রুবেলের ছেলে অভি (১৮), দক্ষিণ অলি নগরের আবুল হোসেনের ছেলে জুনায়েদ হোসেন (৮), কামরুল ইসলামের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৯), পূর্ব হিঙ্গুলীর বেলাল হোসেনের মেয়ে বিবি ফাতেমা (৫০), দক্ষিণ অলিনগরের মো: সাইদুলের মেয়ে বিবি খতিজা (৩২), রেজাউল করিমের মেয়ে বিবি আমেনা (১২), চৌধুরী বদিউল আলমের মেয়ে তারামনি (৬)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া সওদাগর বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আমার ইউনিয়নের ইসলামপুর, পূর্ব হিঙ্গুলী ও পাশের করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের অনেককে একটি পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছে। কুকুরের ভয়ে পুরো এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। আহত সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মিনহাজ উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইনজেকশন লিখে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত কুকুর কামড় কিংবা আঁচড় দিলে ৫টি ইনজেকশন পুশ করতে হয়। কামড়ের সাথে সাথে একটি, পরে ক্রমান্বয়ে বাকি ইনজেকশন নিতে হয়। কুকুরে কামড় দিলে প্রথমে ক্ষতস্থানে ২০ মিনিট ধরে ভালো করে সাবান দিয়ে ধুতে হবে। এরপর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ইনজেকশন নিতে হবে। তা না হলে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।