পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী চরমোন্তাজের স্লুইস বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন ও সহ সভাপতি মোশারফ খানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, দোকানপাট ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় রাকিব খান ও বাশির প্যাদার একটি তুচ্ছ ঘটনায় মিমাংসার জন্য চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান ও দফতর সম্পাদক সাইফুলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিটার সংলগ্ন বাজারে সালিসে বসেন।
সালিস চলাকালে ইউনিয়ন আওয়াম লীগের সহ-সভাপতি মোশারেফ খাঁনের ভাতিজা রিফাত খাঁন এসে বিচার না মানতে দুই পক্ষকে তোরজোর করে। এ সময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহিদুল খানের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় রিফাত খানের। এক পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত লোকেরা রিফাতকে সরিয়ে দেয়।পরে চরমোন্তাজ স্লুইজ বাজরে গিয় রিফাতের চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোশারেফ খানের সমর্থকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও রাস্তায়
দাঁড়িয়ে থাকা ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে
তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গাবালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার।