মঙ্গলবার, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার জন্য দেন দরবার করেছেন তিনি আমাদের স্বাধীনতা চান নাই-এম. জহির উদ্দিন স্বপন উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হলেন ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ চাঁদনী বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন সাবেক এমপি পোটন ৩ দিনের রিমান্ডে বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার করে যাব : আসিফ নজরুল নতুন মামলায় সালমান-ইনু-আনিসুলসহ গ্রেফতার ৮ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত ৩ মাসের মধ্যে শেষ হবে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে দেশে ৩০ হাজার বিদেশি, অধিকাংশই ভারত-চীনের ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি : ১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি মঠবাড়িয়ার ৫ জেলের

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৩ বার পঠিত

বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলার উল্টে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পাঁচ জেলে নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ১৩ দিন পরও তাদের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। তবে নিখোঁজ জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ জেলে পরিবারের স্বজনরা জানান, গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ১১টার সময় তাদের নিখোঁজ জেলেরা পরিবারের সঙ্গে সবশেষ যোগাযোগ করেন।

তারা নারকেলবাড়িয়া এলাকায় মাছ ধরছিলেন। যোগাযোগের আধা ঘণ্টা পর প্রবল স্রোতের ধাক্কায় এফবি ভাই ভাই ট্রলারটি ডুবে যায়। পরবর্তীতে একই ট্রলারে থাকা ৭ জেলে উদ্ধার হলেও এখনো ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- ছোটমাছুয়া এলাকার মৃত হাফেজ আকনের ছেলে বাহাদুর আকন (২২), একই এলাকার মৃত উজ্জাত আলী আকনের ছেলে ইমাদুল হক (৫২), ওই এলাকার আকব্বর শাহ-এর ছেলে আল আমিন শাহ (২২), মোসলেম হাওলাদারের ছেলে সালাম (৫০) এবং ভাণ্ডারিয়া থানার জুনিয়া এলাকার বাবুর্চি মোকলেছ হাওলাদেরর ছেলে আব্দুর রহমান (৫০)।

এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক নজরুল ইসলাম মাঝি মোবাইল ফোনে বলেন, তারা ১০ জন একটি ট্রলারে করে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিচ্ছেন। নিখোঁজ জেলেরা জীবিত থাকলে এতদিনে তাদের খোঁজ পাওয়া যেত। এখন জেলেদের অন্তত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও জানান, ৩০ জুন আবহাওয়া খারাপ হওয়ার ফলে ১০ কিলোমিটার গভীর সাগরের দিকে নিয়ে যায়। আসার পথে স্রোতে ট্রলার উল্টে ফেলে। একটি ট্রলার ৭ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও পাঁচজনের খোঁজ পাননি। সাত জেলেকে নিয়ে উদ্ধারকারী ট্রলারটি মহীপুর পৌঁছায়। ট্রলারডুবির পর আমরা বঙ্গোপসাগরে ভেসে ছিলাম। দীর্ঘ সময়ে ভেসে থাকায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মহীপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।

নিখোঁজ জেলে আল আমিন শাহর স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ঋণের বোঝা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে আমার স্বামী নিখোঁজ। তিনি মারা গেলেও অন্তত তার লাশটা যেন আমরা পাই।

তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, অনাহারে দরিদ্রতার কষাঘাতে পড়ে একটি ট্রলার নিয়ে ছোটমাছুয়া এলাকার ১২ জেলে ২৬ জুন মাছ ধরতে সাগরে যান। ৩০ জুন গভীর রাতে স্রোতের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ৭ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও এখনো পাঁচ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মহিপুর থেকে মাছ ধরা ট্রলারটি সাগরে গিয়েছিল। এটি ডুবে গেছে। আমরা কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ পাঁচ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com